বেলা ফুরাবার আগে বই রিভিউ|Bela puraber age book review|Arif azad
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করবো 2020 সালের বেস্টসেলার বই “বেলা ফুরাবার আগে“বইটি নিয়ে।
এই বইটির লেখক কে ,তা সবারই জানা আছে আরিফ আজাদ।
ডঃ শামসুল আরেফিন লেখক আরিফ আজাদকে নিয়ে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন , আরিফ আজাদ একজন জীবন্তআলোকবর্তিকা।
গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়নাকে চূর্ণবিচুর্ণকরেন। আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারি লেখকদের একজন আরিফ আজাদ।
তার লেখা প্রথম বই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’। যে বইয়ের মাধ্যমে লেখক আরিফ আজাদ নাস্তিকদের ধোঁতা মুখ থোতা করেদিয়েছিলেন। এই বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
তো বন্ধুরা কথা আর না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি বেলা পুরাবার আগে বইটির আলোচনায়।
- বইয়ের নাম: বেলা ফুরাবার আগে
- লেখকের নাম: আরিফ আজাদ
- ক্যাটাগরি: আত্ব উন্নয়ন
- প্রকাশক: সমকালীন প্রকাশক
- মোট পেজ:192
- প্রকাশ:2020
- ভাষা: বাংলা
- বইয়ের ধরন: ইসলামিক বই
- দেশ: বাংলাদেশ
অনেকের মনে হয়তোবা প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘বইটি কি নিয়ে?’ বইটি আসলে লেখক আরিফ আজাদ নিজেকে নিয়ে লিখেছেন।তবে না,এটা লেখকের আত্মজীবনী টাইপ কিছু নয়। এই বইটা আরিফ আজাদের জীবনের এমনকিছু অভিজ্ঞতার সমাহার, যেঅভিজ্ঞতাগুলো তিনি সময়ের ঘাত–প্রতিঘাতে অর্জন করেছেন,দ্বীন পালন করতে গিয়ে একজন যুবক, অথবা একজন মুসলমানযে বাধার সম্মুখীন হয়, সেই বাঁধাগুলো অতিক্রমের গল্পই বলা যায় এই বইটাকে।
। বইটিতে লেখক আরিফ আজাদ ১৫ টিরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা টপিকস নিয়ে আলোচনা করেছেন । যা বর্তমান সময়েরপ্রত্যেক তরুন–তরুনীর একবার হলেও বইটি পড়া উচিত।
- শুরুর আগে
- মন খারাপের দিনে
- আমার এত দুঃখ কেন?
- বলো,সুখ কোথা পাই
- জীবনের ইঁদুর দৌড় কাহিনী
- চোখের রোগ
- আমরাতো স্রেফ বন্ধু কেবল
- চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়
- বেলা ফুরাবার আগে
- মেঘের কোলে রোদ হেসেছে
- বসন্ত এসে গেছে
- সালাতে আমার মন বসে না
- তোমায় হৃদ মাজারে রাখবো
- যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা
- মেঘের ওপার বাড়ি
- আমি হব সকাল বেলার পাখি
- তুলি দুই হাত করি মোনাজাত
- চলো বদলাই
এর মধ্য থেকে কয়েকটি টপিকস আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি:
১.মন খারাপের দিনে:
আমরা অনেক সময় বিপদে পড়লে বা মন খারাপ হলে হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু একজন সত্যিকারের মুসলমানের কখনোই হতাশহওয়া উচিৎ নয়। মন খারাপের দিনগুলোতে আমাদের ধৈর্য ধরা উচিৎ এবং আল্লাহর সাথে বেশি বেশি কথা বলা উচিৎ– কুরআনতিলওয়াতের মাধ্যমে এবং সালাতের সিজদার মধ্যে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই টপিকে।
২. বলো,সুখ কোথা পাই:
সুখ আসলে শারীরিক নয় আত্মিক। আত্মার পরিতৃপ্তি হলো সুখের কারণ। আমাদের আত্মা যদি প্রশান্ত না হয়, আমাদেরআত্মার যে খোরাক তা যদি আমরা লাভ করতে না পারি তাহলে আমাদের সুখী হওয়া টা শুধুমাত্র একটা অভিনয়। সত্তিকারেরসুখ নয়। কুরআন সুখ বলতে অন্তরের প্রশান্তিকে বুঝিয়েছে। অন্তর যখন শান্ত থাকে ,প্রফুল্ল থাকে তখনই একজন মানুষ সুখীহয়।এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই টপিকে।
৩. জীবনের ইঁদুর দৌড় কাহিনী:
আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা‘য়ালা বলেছেন, প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের ভুলিয়ে রেখেছে। প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা কি? এইপ্রতিযোগিতা আমাদের কি থেকে গাফেল করে রেখেছে? সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই টপিকে।
৪. চোখের রোগ:
বর্তমান সময়ের যুবকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ হচ্ছে চোখের রোগ। অধিকাংশই তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে না। হাদিসেবলা হয়েছে ,কোন নারীর দিকে দৃষ্টি চলেগেলে সাথে সাথে তা ফিরিয়ে নিতে ।ভুলেও দ্বিতীয় বার যেন মুখ তুলে না পাকানো হয়।কারণ দ্বিতীয় বার তাকানোতে শয়তান মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। যার ফলে চোখের খিয়ানত হয়। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সহআরো বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই টপিকে আলোচনা করা হয়েছে।
শেষকথা,
নিশ্চয় আমার সালাত, আমার জীবন ,আমার মরণ সবকিছুই কেবল বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য
2 Comments