PDF Book free Download (New All)

সবুজ মাঠ পেরিয়ে pdf download (শেখ হাসিনা)

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা “সবুজ মাঠ পেরিয়ে” প্রবন্ধটি পড়া শেষ করলাম। প্রবন্ধ পড়ে মনে হচ্ছে তিনি প্রধানমন্ত্রী না হয়ে লেখক হলে আরও বেশি জনপ্রিয় হতেন। যদিও তার লেখায় রাজনৈতিক বিষয় বেশি প্রধান্য পায়। তারপরও রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনীতি, সামাজিক, পারিবারি মমত্ববোধ, স্বজন হারানো গভীর বেদনা এসব খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরে থাকেন। তেমনি সবুজ মাঠ পেরিয়ে প্রবন্ধে তুলে ধরেছেন রাজনৈতিক পেক্ষাপট, সামাজিক পেক্ষাপট, পারিবারিক ও স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। তিনি এই বইয়ের অধিকাংশ লিখেছে কারাবন্ধী অবস্থায় থাকাকালীন।

book info

  • book: Sobuj Math Periye
  • writter:- Sheikh Hasina
  • File Size : 4.70 MB
  • File Count: 1
  • format: pdf
  • Last Updated জানুয়ারী 5, 2016

সবুজ মাঠ পেরিয়ে pdf download link – direct pdf

FAQ

প্রশ্ন: শেখ হাসিনার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কত?

উত্তরঃ সঠিক সংখ্যা ৩০টি গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন।

প্রশ্ন: শেখ হাসিনা কতবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়?

উত্তরঃ ৭ বার.

বই রিভিউ

বইয়ের শুরুতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কিছু স্মৃতিচারণ করেছ। এখানে তার পিতা অর্থাৎ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে কারাগারে সাক্ষাতের কিছু ঘটনা তুলেছ ধরেছেন। যা একজন বাঙালী জাতি হিসেবে জানা উচিত এই অবিসংবাদিত নেতার সম্পর্কে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যখন আকদ হয় তখন তার পিতা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। আকদের কয়েকদিন পর সাক্ষাতের অনুমতি পেলে তার মা জামাতা ড. এম এ ওজেদ মিয়াঁ নিয়ে কারাগারে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানা ফুল দিয়ে দুটো ফুলের মালা তৈরি করে কন্যা কন্যা সম্প্রদান করেন। নতুন জামাইকে বরণ করে নেওয়া জন্য এছারা তার কাছে উপযুক্ত উপহার খুজে পান নাই। বঙ্গবন্ধু তার জীবন যৌবন সবই বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। জেলখনায় এখন গেছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। সেই কামরায় সামনে গেছেন যেখানে তারা ভাই বোন মা দাদা দাদি অপেক্ষা করতেন সাক্ষাতের জন্য। এখানে গোল গোল পায়া ওয়ালা একটা টেবিল আছে যে টেবিলের উপর বসে জামাল, রেহেনা, রাসেল পা ঝুলিয়ে খেলা করত। সেই টেবিল এখনও আছে।

তারপর লিখেছে কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে। কবি সুফিয়া কামাল তাদের প্রতিবেশী ছিলেন। তাদের বাড়ির একেবারে শেষ মাথায় ছিল কবি সুফিয়া কামালে বাড়ি। তার কছে থেকে পেয়েছেন মায়ের মমতা। বিপদের সময় সাহস জোগানো শেষ ভরসা ছিলে কবি সুফিয়া কামাল। কবিকে তিনি ফুফু বলে ডাকতেন কারন শেখ মুজিবুর রহমান তাকে বড় আপা/বোনের মত সম্মান করতেন। কবির কাছ থেকে অন্তিম মুহুর্তে অনেক পরামর্শ নিতে শেখ মুজিব। তার হাত ধরেই শেখ হাসিনাও কবি জীবদ্দশা পর্যন্ত বহুবার পরামর্শ নিয়েছেন এবং তার দিকনির্দেশনা অনুসারে কাজ করেছেন। কবি অতি সাধারন জীবন করতেন তা তার ভাষায়, “প্রথম যেদিন কবির বাসায় যাই সেদিন তিনি খরম পায়ে লম্বা ঘোমটা দিয়ে মাছ কুটছিলেন। তিনি নিজের হাতে রান্না করতে এবং তা পরিবেশন করতেন। কবির বাড়ি গেলে না খেয়ে আসতে দিতেন না।

তিনি আরও বলেন ১৯৮১ সালে দেশে ফিরছি তখন থেকেই তার কাছে পেয়েছি আতৃস্নেহ। প্রায়ই ছুটে যেতাম তার কাছে। অনেক অরাজনৈতিক সামাজিক বিষয়ে আলাপ হত। কঠিন সময়গুলোতে তার কাছে বসলে মনটা হালকা হত। এভাবেই তার কাছ থেকে নানা পরামর্শ নিতেন তিনি।

একবার তিনি কবির কাছে গিয়ে বলেন, আমি আর পারছি না – পার্টির পদ ছেড়ে দেব। কবি তাকে বলেছিলেন, তোর উপর অনেক বড় দায়িত্ব, এই দেশ তোর আব্বা স্বাধীন করেছেন এখন তার আদর্শ বাস্তবায়ন তোকে করতে হবে। দেশের মানুষের জন্য তোকে কাজ করতে হবে। সাহস রাখ, তুই পারবি।

১৯৯১ সালে নির্বাচনে হারার পর শেখ হাসিনা সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলে দলের অনেক নেতারা হতাশা পরে যান। অনেক ভাবে আমাকে বোঝাতে থাকে কোনো ভাবেই আমি রাজি হচ্ছিলাম না। প্রতিদিন ফোনের পর ফোন কারো ফোন আমি রিসিভ করি না। একদিন আমি শুনতে পেলাম কবি শুফিয়া কামালের ফোন আমি রিসিভার নিলাম। সকলের ফোন আমি প্রত্যাখ্যান করতে পারি কিন্তু এই ফোন না ধরার সাহস আমার নাই। তিনি বললেন, তুই এইদেশ ছেড়ে কোথায় যাবি? তোকে সভাপতি থাকতে হবে। তুই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার কর। আমি গড়ি মসি করলে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বললে আমি যা বলি তাই মানতে হবে। তিনি আমাদের বিপদে আপদে ছায়ার মত পাশে থেকেছেন।

১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে তাদের বাড়ির পোষা কুকুরটি অসুস্থ অবস্থা কবির ছেলে সামিম ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ করে তুলেন। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে এসেই কবির বাড়ি যান কবির সাথে দেখা করতে। একদিন সামিম ভাই বললেন, তুমি কুকুরটাকে চিনতে পার কিনা, এটা তোমাদেরই কুকুর। খুব অসুস্থ ছিলো, আমি চিকিৎসা করাই – এখন আমার সাথেই থাকে। তিনি মনে মনে বলে অবলা জীবও জানে কার কাছে আশ্রয় পাবে। তিনি শেষ বাক্য দিয়ে বুঝিয়েছেন তিনি ছিলেন একজন আশ্রয়দাতা, স্নেহময়ী মা। তার কাছে আসলে সব কিভুলে থাকায় যায়।

সুন্দরবন থেকে হিমালয় এখানেই বাঙ্গালি জাতির উত্থান পত্তন নিয়ে দারুন লিখেছেন। তিনি বলেছেন বাঙ্গালি অসাধ্য সাধন করতে পারে। এভারেস্ট জয় করেছে। হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় যেমন চড়তে পারে তেমনি বঙ্গোপসাগর এর উত্তাল ঢেউ সাতার কাটতে পারে। সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে বিচরণ করতেও দ্বিধা করে না। বিস্ময় সৃষ্টিবকরতে বাঙালির জুড়ি নাই। আবার তিনি বলেছেন, মানুষকে তাক লাগানো মতো ঘটনা যেমন ঘটাতে পারে তেমনি অঘটন ঘটানোর ক্ষেত্রেও বাঙালি পটু। বাঙালি আবেগপ্রবণ আর এই আবেগপ্রবণতাই যেমন আত্নত্যাগে উদ্বুদ্ধ করে। ভালোবাসায় যেমন আপ্লুত হতে পারে এ-জাতি, তেমনি নিষ্ঠুরতার চরম রুপও দেখাতে পারে, তার দৃষ্টান্ত মহান মুক্তিযুদ্ধ। তিনি সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে বাঙালি জাতির তুলনা করে বলেছেন, সাধারণত প্রাণিটি শান্ত প্রকৃতির কিন্তু খেপে গেলে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। বাঙালির চরিত্রে এর কি সাদৃশ্য খুজে পাই না?

সবশেষে লিখছেন পিতাকে ফিরে পেলাম। এখানে তুলে ধরেছেন স্বজনের জন্য দীর্ঘ্য প্রতীক্ষার করা। শুধু যে একটি পরিবার তা নয় পুরো বাঙালি জাতি একজন ব্যক্তির জন্য দীর্ঘ্য নয় মাস অপেক্ষা করেছেন। আবার তাকে বরণ করার জন্য বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত আনন্দের কান্নায় বুকে জড়িয়ে ধরা। বাসায় স্বজনে আকুতি কখন আসবে সেই মহান ব্যক্তি যার জন্য বাঙ্গলার আকাশ বাতাস তাকিয়ে আছে। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হয় কিন্ত অপ্ল কিছু সময়ের জন্য।

book some images

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button